Hot video

Tuesday, May 31, 2016

Dengue Fever Outbreak Raises Alarm

Dengue Fever Outbreak Raises Alarm


By Brewer -
 30 May 2016
 
People in Mandera are living in fear after a suspected dengue fever outbreak, which has so far killed 10 people and left many in hospital beds.
The county health boss, Ahmed Sheikh confirmed reported cases bear symptoms of the fever outbreak. Blood samples have been dispatched to the Kenya Medical Research Institution for further scrutiny.
This deadly virus, transmitted by mosquitoes,  is believed to have been spread from the neighbouring country, Somalia.
Some of the noticeable symptoms of the disease are as below:
•Severe joint and muscle pains
•Sudden high fever
•fatigue
•Nausea & skin rash
•Severe headaches
The county is undertaking extensive anti-mosquito spraying exercise in possible mosquito breeding areas. Residence are urged to use mosquito repellants to curb the situation. See more- http://dgfpbd.blogspot.com

Saturday, April 2, 2016

Soft Drinks

কোমল পানীয় বা
soft drinks হলো মাদক বিহীন তরল। বেশিরভাগ কোমল পানীয়তেই কার্বন সমৃদ্ধ পানি, মিষ্টিজাতীয় পদার্থসহ সুগন্ধযুক্ত পদার্থের উপাদান, ক্যাফেইন থাকে।
আমরা অহরহ এটি খেয়ে থাকি তাই এর যে ক্ষতিকর দিক রয়েছে তা নিয়ে আমরা কেউ ভাবি বলে মনে হয় না।

একটি ৩৫৫মি.লি এর কোকের ক্যানে প্রায় ১০চা চামচের মত চিনি থাকে। এই অতিরিক্ত চিনি দেহের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। অতিরিক্ত চিনি দেহে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় যা সবার জন্যই ক্ষতিকর বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তো বটেই।এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ফ্যাট হিসেবে দেহে সঞ্চিত হয়, ফলে দেহের ওজন বেড়ে যায়। পশ্চিমা দেশসমুহে মুটিয়ে যাবার হার বেড়ে যাবার অন্যতম কারণ এই কোমল পানীয়। আর এই অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এর অন্যতম কারণ হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি দাঁতের গর্তজনিত ক্ষয় করে থাকে। দাঁতের এনামেল হলুদ করতেও ভুমিকা রয়েছে এই কোমল পানীয়ের।প্রাত্যহিক কোমল পানীয় পান করার ফলে আমাদের ৩০% ওজন বেড়ে যাবার ঝুঁকি রয়েছে। পরীক্ষায় জানা যায় যে কৃত্রিম চিনি আমাদের মস্তিষ্ককে ভাবতে সাহায্য করে যে এটা মিষ্টি। তাই অতিরিক্ত শর্করার প্রতি আমাদের মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয় এবং মস্তিষ্কের বোঝা বেড়ে যায়।
কোমল পানীয়তে ব্যবহৃত কার্বন, ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তাই দীর্ঘদিন ধরে ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কম থাকলে হাড় ক্ষয় হয়ে যায় যাকে বলা হয় অস্টিওপোরেসিস। অন্যদিকে ক্যাফেইন শরীরের ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কমায়, সাথে সাথে আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুকে উত্তেজিত করে ফলে মানসিক উত্তেজনা বেড়ে যায়, নিদ্রাহীনতার সমস্যা দেখা যায়।
কোমল পানীয়তে সোডিয়াম বেনজয়েট পদার্থের অস্তিত্ত রয়েছে। শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ আবিস্কার করেছন সোডিয়াম বেনজয়েট ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সফট ড্রিংকস দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যারামেলের রং আনার জন্যে সফট ড্রিংকসে পলি-ইথিলিন গ্লাইকোল নামে যে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্যে দায়ী।
মজার ব্যাপার হলো, ডায়েট কোলা নামে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে যে সফট ড্রিংকস বিক্রি হয় তাতে চিনির পরিবর্তে এসপার্টেম নামে একটি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। দেহের ওপর এ উপাদানটির রয়েছে ৯২ ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব। তার মধ্যে অন্যতম ব্রেন টিউমার, বন্ধ্যত্ব, ডায়াবেটিস, মৃগী এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা।সফট ড্রিংকস যাতে বরফের মতো জমে না যায় সে জন্যে এতে ইথিলিন গ্লাইকোল নামের একটি উপাদান ব্যবহার করা হয়। এটি প্রায় আর্সেনিকের মতোই একটি বিষ। কিডনির ওপর এর প্রভাব খুবই ক্ষতিকর।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যারা সফট ড্রিংকস খান না বা পরিমিত খান, তাদের তুলনায় যারা প্রচুর পরিমাণে খান তাদের কিডনিতে পাথর জমার হার প্রায় তিনগুণ। সফট ড্রিংকসে যে স্যাকারিন ব্যবহার করা হয়, তাতে ইউরিনারি ব্লাডার ক্যান্সার অর্থাৎ মূত্রাশয়ের ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
প্রচলিত আরেকটি বিশ্বাস হল কোমল পানীয় হজমে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই রিচফুড খাওয়ার পর সফট ড্রিংকস খেতে চাই এ ধারণায় যে, এতে খাবার দ্রুত হজম হবে। আমাদের দেহ সাধারণত ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খাবার হজম করে থাকে।
কিন্তু সফট ড্রিংকস যখন পরিবেশন করা হয়, তখন এর তাপমাত্রা থাকে ৩/৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই খাবার গ্রহণের পর যখন ঠান্ডা কোমল পানীয় পান করা হয়, তখন হজমে তো সাহায্য করেই না, উল্টো পচন ধরায়।তাছাড়া এসিডিক হওয়ার কারণে সফট ড্রিংকস পাকস্থলীর সংবেদনশীল এলক্যালাইন ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে পেটে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, বদহজম, গ্যাস, টক ঢেঁকুর ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সত্যি বলতে গেলে কোমল পানীয় আমাদের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় জিনিস হয়ে গেছে। একে একেবারে বর্জন করা সোজা কথা নয়। তার পরেও নিজেদের কথা ভেবেই কোমল পানীয়কে যতটুকু সম্ভব দূরে রাখা উচিৎ। আর- http://dgfpbd.blogspot.com

Friday, April 1, 2016

Watching TV Is A Warning Sign You’re Depressed & Lonely

Watching TV Is A Warning Sign You’re Depressed & Lonely
by health care ...01-04- 2016


 
 




Disappointing:watching to "block out"negative feelings
Disappointing:watching to “block out”negative feelings
Watching TV Is A Warning Sign You’re Depressed & Lonely.Watching TV is no longer considered a “harmless addiction” but depressed people will watch when low.Watching is linked to feelings of loneliness and depression,a new study suggests.
According to the study,where more than 300 people were surveyed,the more lonely and depressed people were,the more likely they were to watch TV.
Their TV viewing habits and moods were  also studied.
Those who were lonely and depressed were found TV as a distraction from their negative feelings.
People who lack self-control also were unable to resist the temptation to keep on watching even when they have other tasks to complete.
Some people adopt the habit of spending days or multiple hours watching several episodes of their favorite programs,movies or series by means of DVDs or digital streaming.
This is referred  to as “binge-watching”


This couch-potato syndrome will have such people trying to catch up with all the episodes in the Game of Thrones,Breaking Bad,House of Cards or Broadchurch and every other eye-catching series.They are more likely to be suffering from low moods.
Even worse,some viewers subscribe to services that give them unlimited online access to films and TV shows.
When an episode from a series ends in that service, it automatically starts screening the next episode after 15 seconds.
A series like House of Cards was made available all in one go online rather than releasing an episode per week.This only made it worse for addicts.
When binge-watching becomes rampant  they could neglect work,relationships and even their family.
As a matter of fact,happier people have other things to do with their leisure time, such as volunteering, pursuing hobbies or spending time with friends.
Health problems related to extensive watching include physical fatigue and obesity and they really are a cause of concern.
The findings of this research should be a wake up call for those who thought binge-watching was  harmless or believed they can never end up being victims of depression when they actually are without their consent.
Even though watching is an important media aspect,it could greatly affect the social phenomenon. http://dgfpbd.blogspot.com
by health care and family planning

Tuesday, March 29, 2016

ভিটামিন টেবলেটের ক্ষতিকারক প্রভাব

ভিটামিন
ভিটামিন শরীরের জন্য ভালো – এটা সবাই জানে। কিন্তু এর আবার মন্দ দিক? হ্যাঁ, সেটাও আছে বৈ কি! ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আজকাল অনেকেই বেশ সচেতন। আসলে অধিকাংশ প্রকৃতিজাত খাদ্যবস্তুকে আমরা নানাভাবে শোধিত বা process করে, সংরক্ষণের জন্য জীবাণুনাশক রাসায়নিক পদার্থ যোগ করে, খাদ্যগত স্বাভাবিক ভিটামিনগুলোকে বহুলাংশে নষ্ট করে ফেলি। এ কারণেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনেক সময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ক্ষতিপূরণের চিন্তায় না গিয়ে শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে ভেবে আজকাল অনেকেই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন খান মুড়ি-মুড়কির মতো করে। বিশেষ করে বি, সি এবং ই – এসব ভিটামিনগুলো। কিন্তু দেহের ভিটামিনের চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা করা উচিত খাদ্যের মাধ্যমে, ‘ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণের মাধ্যমে নয়। কেননা এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।
ভিটামিন বি
মেশিনে ছাঁটা অতিরিক্ত শোধিত চাল বাদ দিয়ে কম ছাঁটা চালের ভাত আর তার সাথে তুষযুক্ত আটার রুটি পরিমাণমতো খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি স্বাভাবিকভাবেই পাওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ‘বি-কমপ্লেক্স’ গোষ্ঠীভুক্ত ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলে, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন বি-২ বা নিয়াসিন খেলে শুরু হতে পারে মাথাধরা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
মানুষ নিজদেহে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। তাই আলাদাভাবে এই ভিটামিন সি গ্রহণের প্রয়োজন হয়। এটা জেনে অনেকে ভাবেন যে শুধু খাদ্যের মাধ্যমে নয়, সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও প্রচুর পরিমাণে বাড়তি ভিটামিন সি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভিটামিন সি-এর দৈনিক প্রয়োজন যা তা ১ টুকরো পেয়ারা বা ১টি লেবু অথবা ২টি টমেটো কিংবা ১টা বড় কমলালেবু থেকেই পাওয়া যেতে পারে।
অতিরিক্ত সিন্থেটিক ভিটামিন সি খাওয়া আবার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। কারণ এতে নষ্ট হয়ে যায় শরীরে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ লবণের ভারসাম্য। তাছাড়া সিন্থেটিক ভিটামিন সি দীর্ঘদিন গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে স্কার্ভি রোগ, মেয়েদের অকাল রজঃস্রাব এবং অনেক ক্ষেত্রে বাতের আক্রমণ।
ভিটামিন সি ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে পারে, এমনকি ঠাণ্ডা লেগে গেলে তার স্থায়িত্বের সময়ও কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি-তেই এ কাজ সম্ভব। তাই যাদের খাদ্যে ভিটামিন সি-এর মারাত্মক অভাব তারা ওই ১০০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম সিন্থেটিক ভিটামিন সি খেতে পারেন। কিন্তু এজন্য একবারে একগাদা ভিটামিন সি খাওয়া কোনোমতেই ঠিক নয়।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই পাওয়া যায় প্রচলিত সবরকম খাদ্যে। বিশেষ করে শস্যদানা এবং শাকপাতায়। বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করে অনেকেই মনে করেন যে, সিন্থেটিক ভিটামিন ই যৌনশক্তি বাড়িয়ে দেয়, জরা প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগ হতে দেয় না। এগুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে যথেষ্টই। প্রকৃতপক্ষে ভিটামিন ই-এর অভাব ঘটেছে এরকম রোগীর খবর নেই বললেই চলে। কারণ একে তো এই ভিটামিন সাধারণ খাদ্যের মধ্যে যথেষ্টই আছে, তাছাড়া আমাদের দেহে এই ভিটামিন সঞ্চিতও থাকতে পারে দীর্ঘদিন ধর.. More - http://dgfpbd.blogspot.com
--

Monday, March 28, 2016

১০ মিনিট হাটা কমাতে পারে মৃত্যুর ঝুঁকি

আপনি যদি চান ভাল থাকতে তাহলে এক নাগাড়ে কোথাও বসে না থেকে কয়েক মিনিটের জন্য সামান্য নড়াচড়া যেমন হাঁটা কিংবা রান্নাবান্নার কাজ করতে পারেন। এতে আপনার মৃত্যুঝুঁকি কমবে। নতুন এক গবেষণায় এমনটি দাবি করা হয়েছে।   যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের পরিচালনায় জাতীয় স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরীক্ষার জরিপ থেকে তিন হাজার ব্যক্তির তথ্য পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।


 জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ছিল ৫০ থেকে ৭৯। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সাত দিনের জন্য হাতে অ্যাকসেলেরোমিটার (অতি সংবেদনশীল অ্যাক্টিভিট ট্র্যাকার) পড়ানো হয়। গবেষকরা বলেন, কম কর্মক্ষম ব্যক্তিদের দ্রুত মারা যাওয়ার সম্ভাবনা পাঁচ গুণ বেশি। আর মধ্যমমানের কর্মক্ষমদের মৃত্যুর ঝুঁকি তিন গুণ বেশি। পেনিনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট প্রার্থী এবং প্রধান লেখক ইজরা ফিশম্যান বলেন, আমরা দেখেছি, যারা কম বসে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করেছেন তারা দীর্ঘায়ু পেয়েছেন। বসে না থেকে যারা হাঁটেন, রান্না করেন, থালাবাসন মাঝেন, ফ্লোর পরিষ্কার বা অন্য কোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করেন তারা দীর্ঘায়ু লাভ করেন।
গবেষকরা বলেছেন, ক্রনিক অবস্থা এবং শারীরিক অসুস্থতা মৃত্যু হারে প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ধূমপান, বয়স, লিঙ্গ, নির্ণীত শারীরিক অবস্থার বিষয়গুলো গবেষণায় বিবেচনা করা হয়েছে।   ইজরা ফিশম্যান বলেন, প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের শারীরিক কার্যক্রম ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। ৩০ মিনিট কম বসে থেকে যদি শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা হয় তাতে ভালো ফলাফল দিতে পারে। অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা কমাতে প্রচুর ঘাম ঝরানো প্রয়োজন নেই।
http://dgfpbd.blogspot.com

Sunday, March 27, 2016

মারাত্মক ক্ষতির কারণ

প্রতিদিন আমরা অনেকেই এমন কিছু কাজ করি যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ রয়ে দাঁড়ায়। আপনি হয়তো অভ্যাসবশত কিংবা স্বাভাবিক নিয়মেই কাজগুলো করে যাচ্ছেন, কিন্তু একেবারেই জানতে পারছেন না এই ছোটোখাটো কাজগুলোই আপনার দেহের মারাত্মক কোনও বিপদ বয়ে আনছে। তাই এখনই সতর্ক হয়ে যান। নিজের এই ছোট্ট অভ্যাসগুলো দূর করার চেষ্টা করুন এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করুন।

১. সটান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই দাঁড়ানোর
সময় হাঁটু একেবারে সোজা করে দাঁড়ান। কিন্তু এই কাজের কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে আপনার হাঁটুর জয়েন্টে, যার কারণে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে পারে আপনার হাঁটুর জয়েন্ট। তাই দাঁড়ানোর সময় হাঁটু সামান্য বাঁকা করে দাঁড়ান, সবসময় সোজা হয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
২. প্রতিদিনের কয়েকটি অভ্যাস ক্ষতি করছে আপনার অনেকেই চিৎ হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমান না। আরমের জন্য উপুড় হয়ে পেটে ভর দিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন এতে আপনার পরিপাকতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও যখন আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তখন মাথা কাত করে রাখতে হয় যার কারণে আপনার মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ছে এবং ক্ষতি হচ্ছে সেখানেই। সুতরাং এই ব্যাপারে সর্তক হোন।
৩. সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোনো অনেকেই সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোতে থাকেন। সারাক্ষণ না হলেও দীর্ঘসময় এই কাজটি করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এই কাজটির কারণে ক্ষতি হচ্ছে আপনার চোয়ালের। সুতরাং অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
৪. অনেক বেশি টাইট করে বেল্ট পড়া অনেকেই নিজেকে একটু স্লিম দেখাবার জন্য অনেক টাইট করে বেল্ট পড়েন। কিন্তু অনেকটা সময় ধরে টাইট করে বেল্ট পড়ার কারণে আপনার পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যার কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হতে পারে না এবং অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করে।
৫. একটানা বসে থাকা কাজ করার জন্য অনেকেই একটানা বসে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি নানা শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী।
more - http://dgfpbd.blogspot.com

Saturday, March 26, 2016

স্মৃতি”-প্রখর করে তুলুন

দুনিয়ার সবকিছুর ভান্ডার এবং রক্ষক হল আমাদের স্মৃতি”- আমার কথা নয়, রোমান দার্শনিক সিসেরোর বাণী এটা, যা গ্রন্থিত রয়েছে তাঁর “দ্যা ওরাটোরে” রচনায়। সেই প্রাচীন সময়ে স্মৃতিশক্তির প্রয়োজনীয়তা ছিল বটে, কিন্তু বর্তমানকালে তার প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমাদের মনোযোগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। একটার বেশি কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিশক্তির বারোটা বেজে যাচ্ছে। আর শুধু একজন-দুইজনের না, আমাদের সবার স্মৃতিশক্তিই খারাপ হয়ে যাচ্ছে একসাথে!
জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের তুলনায় আশি বা নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া ১৮-৩৮ বছর বয়সীদের মাঝে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশ প্রবল। আজ সপ্তাহের কি বার, তাদের চাবি কোথায় রাখা হয়েছে, দুপুরের খাবার খাওয়া এমনকি গোসল করতে ভুলে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় এদের মাঝে! এটা সত্যি যে যেকোনো বয়সে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া শুরু হতে পারে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের জীবনে। ছোটবেলায় সংক্ষেপে পড়া মনে রাখার জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করতাম আমরা, যেমন “বেনীআসহকলা”, কিন্তু এই কৌশলগুলো শুধু ছেলেবেলায় ফেলে আসার জন্য নয় বরং প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্যেও এগুলো বেশ কার্যকরী। জেনে নিন এক্ষেত্রে কি কি কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে!
মনশ্চক্ষুর ব্যবহার করুন
আপনার মনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর ছবি মনে রাখার চেষ্টা করুন। তথ্য হিসেবে মনে না রেখে এসবের ছবি কল্পনা করে নিন। ৬৫ শতাংশ মানুষ অবচেতনভাবেই এই কাজটি করে থাকে কিন্তু সচেতনভাবে এই কৌশল ব্যবহার করলে আপনার স্মৃতি আরও প্রখর হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি চারটার সময়ে একটা মিটিং থাকে তাহলে তার সাথে মনে রাখুন আপনার পছন্দের চার-সদস্যের কোনও মিউজিক ব্যান্ডের ছবি! এখন শুনতে শিশুতোষ মনে হলেও এটা ঠিকই কাজে আসবে।
মস্তিষ্কের চর্চা করুন
সুডোকু বা ক্রসওয়ার্ড জাতীয় খেলা ব্যবহার করে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখুন সব সময়। গবেষকদের তৈরি করা “লুমিনোসিটি” নামের কিছু খেলা আছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারিরা। এগুলো মস্তিষ্কের ওপর ঠিক কিভাবে কাজ করে তা জানা না থাকলেও দেখা গেছে, ১০ ঘণ্টা ব্যবহারে এগুলো ব্যবহারকারীর স্মৃতিশক্তি ৯৭ শতাংশ উন্নতি করতে পারে।
সিসেরোর পদ্ধতি ব্যবহার করুন
এই পদ্ধতির আরেকটি নাম হল মেমোরি প্যালেস। দারশনিক সিসেরো দ্যা ওরাটোরে রচনায় এর উল্লেখ করেন এবং রোমানদের মাঝে এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এ পদ্ধতিটি হল এই রকম- চিন্তা করুন আপনি আপনার পরিচিত এবং মুখস্থ একটি জায়গার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সেটা হতে পারে আপনার অতি পরিচিত বেডরুম। কোনও একটি বিষয় (কোনও মুখ, সংখ্যা বা তথ্য) মনে রাখতে চাইলে মনে মনে আপনার বেডরুমের কথা চিন্তা করুন এবং যে কোনও একটি স্থানে ওই বিষয়টিকে স্থাপন করুন। এরপর যখন আবার সেটা মনে করার দরকার হবে তখন আবারও আপনার বেডরুমের কথা মনে করুন এবং সেই বিষয়টিকে কোথায় স্থাপন করেছিলেন সেটা ভাবুন। প্রথম প্রথম হয়ত এই পদ্ধতি ব্যবহারে কোনও কিছু মনে রাখা কঠিন হবে কিন্তু একবার অভ্যাস হয়ে গেলে এর ব্যবহারে আশ্চর্য উন্নতি হবে আপনার স্মৃতিশক্তির।
বেকার-বেকার পদ্ধতির ব্যবহার
এটা হল একটা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা যেখানে দুই দল মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়। তাদের এক দলকে একটি মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তিনি পেশায় একজন বেকার (রুটি-প্রস্তুতকারক)। ওপর দলকে একই মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তার নাম বেকার। পরবর্তীতে আবার যখন তাদেরকে এই ছবি দেখান হয়, তখন প্রথম দলের মানুষরা মনে করতে পারেন ওই ব্যক্তির পেশা। কিন্তু যাদেরকে বলা হয়েছিল ওই ব্যক্তির নাম বেকার, তারা তুলনামুলকভাবে কম মনে রাখতে পেরেছেন। এর কারণ কি? এর কারণ হল, পেশা যখন বেকার, তা জানার পর পরই মস্তিষ্কে ওই পেশার সাথে জড়িত ছবি (রুটি তৈরি, রান্নাঘর, অ্যাপ্রন) এসে পড়ে এবং ওই তথ্যের সাথে ছবি থাকায় তা পুনরায় মনে করা সহজ হয়। এই পদ্ধতিতে আপনিও কোনও তথ্য মনে রাখতে হলে তার ব্যাপারে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু ছবি মনে করতে পারেন। ফলে এগুলো স্মৃতিতে থাকবে ভালোভাবে।
ছোট একটা ঘুম দিন
আমরা মনে করি ঘুমালে হয়তো কিছুটা কাজের ক্ষতি হয়। কিন্তু মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন তাকে বিশ্রাম না দিলেই বরং স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কাজের ক্ষতি হবে। NASA তাদের এক গবেষণায় দেখে যারা বিকেলে একটু বেশি সময় এভাবে ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিচ্ছেন তাদের স্মৃতি ভালো থাকে। ২০০৮ সালে fMRI ব্যবহার করে আরেক গবেষণায় জানা যায়, যারা বিকেলের দিকে একটু ঘুমিয়ে নেন তাদের চাইতে যারা সারদিন টানা কাজ করেন তাদের ভুলে যাবার প্রবণতা বেশি হয়।
মনোযোগ দিন
কোনও বিষয় মনে রাখতে হলে তার প্রতি মনোযোগ দিতেই হবে। অথচ এখন আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় এতসব উপায়ে যে এই সাধারন কাজটা করতেই আমাদের কষ্ট হয়ে যায়। মনোযোগ না থাকলে একটু একটু করে আমাদের স্মৃতিশক্তি খারাপ হয়েই যাবে অনিবার্যভাবে তাই কনকিছু মনে রাখতে চাইলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করুন।
“আমাদের ভুলে যাওয়ার প্রবনতাই বলে দেয় আমরা কত ব্যস্ত,” বলেন জেল্ডি এস. ট্যান। Beth Israel Deaconess Medical Center এর মেমোরি ডিজঅর্ডার ক্লিনিকের এই ডিরেক্টর রিডারস ডাইজেস্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই কথা। “আমরা যখন মনোযোগ দিচ্ছিনা তখন আমাদের গড়ে তোলা স্মৃতি খুব একটা শক্ত হচ্ছে না এবং পরে তা মনে করতে গিয়েও আমাদের সমস্যা হচ্ছে”।
ধ্যান করুন
অনেক বেশি তথ্যের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে আছে আপনার মন? প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারেন এই সমস্যা। GRE পরীক্ষার্থীদের ওপরে পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ধ্যানের মাধ্যমে তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। ২০১২ সালে MIT এর গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটি সার্কিট আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব হয়। আর যখন মনোযোগ ভাল থাকে তখনই এই সার্কিট সর্বোত্তম ফলাফল দেয়
http://dgfpbd.blogspot.com