Hot video

Saturday, March 26, 2016

স্মৃতি”-প্রখর করে তুলুন

দুনিয়ার সবকিছুর ভান্ডার এবং রক্ষক হল আমাদের স্মৃতি”- আমার কথা নয়, রোমান দার্শনিক সিসেরোর বাণী এটা, যা গ্রন্থিত রয়েছে তাঁর “দ্যা ওরাটোরে” রচনায়। সেই প্রাচীন সময়ে স্মৃতিশক্তির প্রয়োজনীয়তা ছিল বটে, কিন্তু বর্তমানকালে তার প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমাদের মনোযোগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। একটার বেশি কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিশক্তির বারোটা বেজে যাচ্ছে। আর শুধু একজন-দুইজনের না, আমাদের সবার স্মৃতিশক্তিই খারাপ হয়ে যাচ্ছে একসাথে!
জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের তুলনায় আশি বা নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া ১৮-৩৮ বছর বয়সীদের মাঝে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশ প্রবল। আজ সপ্তাহের কি বার, তাদের চাবি কোথায় রাখা হয়েছে, দুপুরের খাবার খাওয়া এমনকি গোসল করতে ভুলে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় এদের মাঝে! এটা সত্যি যে যেকোনো বয়সে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া শুরু হতে পারে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের জীবনে। ছোটবেলায় সংক্ষেপে পড়া মনে রাখার জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করতাম আমরা, যেমন “বেনীআসহকলা”, কিন্তু এই কৌশলগুলো শুধু ছেলেবেলায় ফেলে আসার জন্য নয় বরং প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্যেও এগুলো বেশ কার্যকরী। জেনে নিন এক্ষেত্রে কি কি কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে!
মনশ্চক্ষুর ব্যবহার করুন
আপনার মনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর ছবি মনে রাখার চেষ্টা করুন। তথ্য হিসেবে মনে না রেখে এসবের ছবি কল্পনা করে নিন। ৬৫ শতাংশ মানুষ অবচেতনভাবেই এই কাজটি করে থাকে কিন্তু সচেতনভাবে এই কৌশল ব্যবহার করলে আপনার স্মৃতি আরও প্রখর হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি চারটার সময়ে একটা মিটিং থাকে তাহলে তার সাথে মনে রাখুন আপনার পছন্দের চার-সদস্যের কোনও মিউজিক ব্যান্ডের ছবি! এখন শুনতে শিশুতোষ মনে হলেও এটা ঠিকই কাজে আসবে।
মস্তিষ্কের চর্চা করুন
সুডোকু বা ক্রসওয়ার্ড জাতীয় খেলা ব্যবহার করে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখুন সব সময়। গবেষকদের তৈরি করা “লুমিনোসিটি” নামের কিছু খেলা আছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারিরা। এগুলো মস্তিষ্কের ওপর ঠিক কিভাবে কাজ করে তা জানা না থাকলেও দেখা গেছে, ১০ ঘণ্টা ব্যবহারে এগুলো ব্যবহারকারীর স্মৃতিশক্তি ৯৭ শতাংশ উন্নতি করতে পারে।
সিসেরোর পদ্ধতি ব্যবহার করুন
এই পদ্ধতির আরেকটি নাম হল মেমোরি প্যালেস। দারশনিক সিসেরো দ্যা ওরাটোরে রচনায় এর উল্লেখ করেন এবং রোমানদের মাঝে এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এ পদ্ধতিটি হল এই রকম- চিন্তা করুন আপনি আপনার পরিচিত এবং মুখস্থ একটি জায়গার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সেটা হতে পারে আপনার অতি পরিচিত বেডরুম। কোনও একটি বিষয় (কোনও মুখ, সংখ্যা বা তথ্য) মনে রাখতে চাইলে মনে মনে আপনার বেডরুমের কথা চিন্তা করুন এবং যে কোনও একটি স্থানে ওই বিষয়টিকে স্থাপন করুন। এরপর যখন আবার সেটা মনে করার দরকার হবে তখন আবারও আপনার বেডরুমের কথা মনে করুন এবং সেই বিষয়টিকে কোথায় স্থাপন করেছিলেন সেটা ভাবুন। প্রথম প্রথম হয়ত এই পদ্ধতি ব্যবহারে কোনও কিছু মনে রাখা কঠিন হবে কিন্তু একবার অভ্যাস হয়ে গেলে এর ব্যবহারে আশ্চর্য উন্নতি হবে আপনার স্মৃতিশক্তির।
বেকার-বেকার পদ্ধতির ব্যবহার
এটা হল একটা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা যেখানে দুই দল মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়। তাদের এক দলকে একটি মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তিনি পেশায় একজন বেকার (রুটি-প্রস্তুতকারক)। ওপর দলকে একই মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তার নাম বেকার। পরবর্তীতে আবার যখন তাদেরকে এই ছবি দেখান হয়, তখন প্রথম দলের মানুষরা মনে করতে পারেন ওই ব্যক্তির পেশা। কিন্তু যাদেরকে বলা হয়েছিল ওই ব্যক্তির নাম বেকার, তারা তুলনামুলকভাবে কম মনে রাখতে পেরেছেন। এর কারণ কি? এর কারণ হল, পেশা যখন বেকার, তা জানার পর পরই মস্তিষ্কে ওই পেশার সাথে জড়িত ছবি (রুটি তৈরি, রান্নাঘর, অ্যাপ্রন) এসে পড়ে এবং ওই তথ্যের সাথে ছবি থাকায় তা পুনরায় মনে করা সহজ হয়। এই পদ্ধতিতে আপনিও কোনও তথ্য মনে রাখতে হলে তার ব্যাপারে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু ছবি মনে করতে পারেন। ফলে এগুলো স্মৃতিতে থাকবে ভালোভাবে।
ছোট একটা ঘুম দিন
আমরা মনে করি ঘুমালে হয়তো কিছুটা কাজের ক্ষতি হয়। কিন্তু মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন তাকে বিশ্রাম না দিলেই বরং স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কাজের ক্ষতি হবে। NASA তাদের এক গবেষণায় দেখে যারা বিকেলে একটু বেশি সময় এভাবে ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিচ্ছেন তাদের স্মৃতি ভালো থাকে। ২০০৮ সালে fMRI ব্যবহার করে আরেক গবেষণায় জানা যায়, যারা বিকেলের দিকে একটু ঘুমিয়ে নেন তাদের চাইতে যারা সারদিন টানা কাজ করেন তাদের ভুলে যাবার প্রবণতা বেশি হয়।
মনোযোগ দিন
কোনও বিষয় মনে রাখতে হলে তার প্রতি মনোযোগ দিতেই হবে। অথচ এখন আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় এতসব উপায়ে যে এই সাধারন কাজটা করতেই আমাদের কষ্ট হয়ে যায়। মনোযোগ না থাকলে একটু একটু করে আমাদের স্মৃতিশক্তি খারাপ হয়েই যাবে অনিবার্যভাবে তাই কনকিছু মনে রাখতে চাইলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করুন।
“আমাদের ভুলে যাওয়ার প্রবনতাই বলে দেয় আমরা কত ব্যস্ত,” বলেন জেল্ডি এস. ট্যান। Beth Israel Deaconess Medical Center এর মেমোরি ডিজঅর্ডার ক্লিনিকের এই ডিরেক্টর রিডারস ডাইজেস্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই কথা। “আমরা যখন মনোযোগ দিচ্ছিনা তখন আমাদের গড়ে তোলা স্মৃতি খুব একটা শক্ত হচ্ছে না এবং পরে তা মনে করতে গিয়েও আমাদের সমস্যা হচ্ছে”।
ধ্যান করুন
অনেক বেশি তথ্যের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে আছে আপনার মন? প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারেন এই সমস্যা। GRE পরীক্ষার্থীদের ওপরে পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ধ্যানের মাধ্যমে তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। ২০১২ সালে MIT এর গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটি সার্কিট আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব হয়। আর যখন মনোযোগ ভাল থাকে তখনই এই সার্কিট সর্বোত্তম ফলাফল দেয়
http://dgfpbd.blogspot.com

ভুঁড়িওয়ালাদেরর জন্য সুখবর

শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে নিয়ে এলাম ভুঁড়িওয়ালাদের জন্য একটা দারুন সংবাদ। তাছাড়া নারীরা, আপনারা যারা ভুঁড়িওয়ালাদের পছন্দ করছেন না বা জাদের ভুড়িওয়ালা স্বামী, তারা হয়তো ভুল করছেন। পুরুষরা, আপনাদের যাদের ভুঁড়ি আছে তারা নিশ্চয়ই আছেন টেনশনে। স্ত্রী পীড়াপীড়ি করে কমানোর জন্য। সাথে আছে বন্ধুরা। ব্যায়াম করতে করতে আপনার প্রাণ যায় যায়। কারণ আমরা জানি, ভুঁড়ি থাকা খারাপ, স্বাস্থ্যের অনেক জটিলতা তৈরি হয় এতে। তবে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক গবেষণায় পেয়েছেন অবাক করা ফলাফল। নিজের বেরিয়ে আসা ভুঁড়ি নিয়ে যারা আছেন হীনমন্যতায়, তাদের জন্য এটা সুখবর, আশার বাণী তো অবশ্যই!
International Journal of Impotence Research জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। তুর্কির গবেষকদের মতে, পুরুষদের ভুঁড়ি থাকলে তারা মিলনে বেশি পারদর্শী হন। পুরুষ শরীরে মেদ বেশি থাকলে এস্ট্র্যাডিওলের পরিমাণও বাড়ে। এস্ট্র্যাডল এক ধরনের হরমোন যা পুরুষদের প্রচণ্ড উত্তেজিত করে তোলে এবং সহজে স্খলন হতে বাধা দেয়।
কায়জেরির এরসাইজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন পুরুষের বডি মাস ইনডেক্স এবং শারীরিক মিলনে পারদর্শিতার তুলনামূলক এক গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বৈজ্ঞানিকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বডি মাস ইনডেক্স বেশি ও চওড়া থলথলে ভুঁড়িওয়ালা পুরুষরা গড়পড়তা পুরুষের তুলনায় মিলনে সাড়ে সাত মিনিট বেশি স্থায়ী হতে সক্ষম। আর- http://dgfpbd.blogspot.com

Asthma attack and improve

২০ নভেম্বর ছিল World COPD Day
COPD মানে হল ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ- অর্থাৎ ফুসফুসের বিশেষ কিছু রোগকে একত্রে COPD বলা হয়ে থাকে। এই রোগগুলোর মধ্যে এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে পৃথিবীতে ২৩৫ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত রয়েছে হাঁপানিতে, এর মাঝে গত এক বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। তাই আপনি এ রোগের বাইরে আছেন এমনটা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকার কোন কারণই নেই। তাই আপনি আসলেই আক্রান্তদের মাঝে আছেন কি না তা যাচাই করে নিন।
এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছেঃ
নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ দেওয়ার অনুভূতি হওয়া বা ব্যথা হওয়া, ঠান্ডা লাগলে নিঃশ্বাস নেবার সময় বুকে শব্দ হওয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টের জন্য ঘুমাতে সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
অনেকেই ঠান্ডা লেগে বুকে শব্দ হওয়াকে কফ জনিত শব্দ বলে অবহেলা করেন কিন্তু হাঁপানির অন্যতম প্রধান লক্ষণই এটি।
আর কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যখন এসব লক্ষণ বা উপসর্গ খুব বেশি প্রতীয়মান হয়; এমনটা দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়। সেই ক্ষেত্রগুলো হচ্ছেঃ
খেলা-ধুলা বা ব্যায়াম করার সময় যদি শ্বাসকষ্ট হয়। বিশেষ করে শুকনো ও ঠান্ডা বাতাসে (যেমনঃ শীতের দিনে) ব্যায়াম করতে গেলে বেশি সমস্যা হলে।
বেশি ধুলোবালি বা রাসায়নিক দ্রব্য নিঃশ্বাসে প্রবেশ করার সময় শ্বাসকষ্ট হলে। বিশেষত ঘর-বাড়ি পরিস্কারের সময় বা বায়ু খুব দূষিত এমন এলাকায় ভ্রমনের সময় নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার কর্মস্থলে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার খুব বেশি হলেও আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এলার্জির উদ্রেক করে এমন জিনিসের সংস্পর্শে এলেও আপনার এ্যাজমার উপসর্গগুলো বেড়ে যেতে পারে।
হাঁপানির উপশম-
অনেকেরই ধারণা হাঁপানির সম্পূর্ণ উপশম সম্ভব, অন্তত রাস্তা-ঘাটে যারা ঔষধ বিক্রি করেন, তাদের তো এই নিয়ে বড়াইয়ের শেষ নেই। কিন্তু সত্যি কথা হল হাঁপানির কোন চিরস্থায়ী উপশম নেই। হয়ত ঔষধের ব্যবহার ও শুষ্ক আবহাওয়ায় টানা অনেকদিনের জন্য ভাল থাকতে পারেন একজন হাঁপানি রোগী, কিন্তু এলার্জেন বা ধুলোবালি ভরা বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে, আর্দ্র আবহাওয়ায় ফিরে এলে আবারও তাদের হাঁপানির উপসর্গগুলো ফিরে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
আপনার বাড়িতে রক্তের সম্পর্কীয় কারও হাঁপানি থাকলে, এলার্জির সমস্যা থাকলে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বা আশেপাশের কেউ চেইন স্মোকার হলে, ক্রমাগত বায়ু দূষনের শিকার হলে আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই সম্ভব হলে এই ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলুন। বিশেষত ধূমপায়ীদেরকে সিগারেট খেতে নিরুৎসাহিত করুন; কারণ শুধু হাঁপানিই নয় দেহের প্রায় বেশিরভাগ ক্যান্সারের সাথে ধূমপানের সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপায়ীদেরকে নিরুৎসাহিত করাই এবারের World COPD Day এর উদ্দেশ্য। এবারের প্রতিপাদ্য তাই “It’s not too late”। আসলেই, এখনও দেরি হয়ে যায়নি- আপনার, আপনার সন্তানদের বা প্রিয়জনকে হাঁপানি কিংবা ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে আজই পদক্ষেপ নিন।
more - http://dgfpbd.blogspot.com

ক্যান্সারে আক্রান্ত-কারন সমুহ

ক্যান্সারে আক্রান্ত-কারন সমুহ
বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশী। এবং প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ধূমপান, সূর্যের রশ্মি, রাসায়নিক পদার্থ, বাড়তি ওজন সহ আরও নানান কারণে কান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনো মানুষ। জরিপে দেখা যায় সাধারণত প্রতি ৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যান ১ জন ব্যক্তি। কিন্তু চিকিৎসার অভাব ও অবহেলার কারণে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ জন পর্যন্ত।
অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো ভালো ভাবে না জানার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পরে ক্যান্সার। যা বেশি মাত্রায় ছড়ানোর পর চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব হয় না। ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে ভালো ভাবে জানলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারকে নির্মূল করা সম্ভব হয়। তাই আমাদের জানতে হবে ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন কমে যাওয়া
কোন কষ্ট না করেও ওজন কমতে থাকলে খুব খুশি হওয়ার কিছুই নেই। এটা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ওজন কমতে থাকলে সমস্যা নয়। সমস্যা হলো কোন প্রকার ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে ওজন কমতে থাকলে। এবং বেশি মাত্রায় কমতে থাকলে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাওয়া দরকার।
ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি হওয়া
ঠাণ্ডা কিংবা ঋতু পরিবর্তনের সময় একটু আধটু জ্বর বা কাশি হওয়াকে আমরা কেউই পাত্তা দিই না। কিন্তু যদি টানা জ্বর উঠা এবং কাশি থাকা শুরু করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারন ক্রমাগত জ্বর ওঠা এবং কাশি হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা, লিউকোমিয়ার লক্ষণ। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি থাকা অবহেলা করবেন না কখনোই।
অতিরিক্ত এবং প্রায়ই মাথা ব্যথা এবং মেরুদণ্ড ব্যথা হওয়া
মাইগ্রেনের কারণে অনেকেই মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। ঠাণ্ডা লেগেও অনেকের মাথা ব্যথা হয়। কিন্তু একটানা অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য চেকআপ করান। কারণ অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হতে পারে ‘ব্রেইন ক্যান্সারের’ লক্ষণ। আবার একটানা বসে থাকলে পিঠ না মেরুদণ্ড ব্যথা হয় বলে আমরা মেরুদণ্ড ব্যথাকে পাত্তা দেই না। কিন্তু এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সুতরাং অবহেলা না করে চেকআপ করান।
চামড়ার নিচে ফোলা বা দলা ভাব
ক্যান্সারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরের চামড়ার নিচে গুটি গুটি হয়ে ফুলে ওঠা বা দলা পাকানো গোটার মতো অনুভব করা। তবে এই গুটি গুলো বুক বা বুকের আশে পাশে অথবা যৌনাঙ্গে দেখা দিলে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাত, পায়ে দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই।
অস্বাভাবিক রক্তপাত
কফ বা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া পস্রাব-পায়খানার সাথে রক্ত পরাও হতে পারে ব্লাডার ক্যান্সারের কারন। স্তন থেকে রক্ত পরা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব লক্ষণ দেখার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
শরীরের চামড়ায় পরিবর্তন
চামড়ায় ছোট ছোট দানা হওয়া কিংবা শরীরের চামড়ার মাঝে মাঝে রঙের পরিবর্তন, কোন কারণ ছাড়াই জখমের মত দাগ হওয়া সবই মেলানোমার লক্ষণ। অর্থাৎ চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব দাগ কিংবা পরিবর্তনের দিকে লক্ষ রাখুন। চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তনে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
খুব দ্রুত ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়া
অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় কিংবা কাজের মধ্যে থাকলে আমরা ক্লান্তি বোধ করি। এমনকি মাঝে মাঝেই ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ থাকি বলে এই নিয়েই কাজ করি। অনেক সময় বিস্রাম নেয়ার পরও এই ক্লান্তি দূর হয় না বলে আমরা ভাবি আমাদের পরিমিত বিশ্রাম হচ্ছে না। কিন্তু আমরা ভাবতেও পারি না এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সামান্যতেই ক্লান্ত এবং অবসাদবোধ হওয়াকে অবহেলা না করে চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে যান।- http://dgfpbd.blogspot.com

Tuesday, March 22, 2016

আপনি কি কফি খান? তাহলে জেনেনিন কফির ৫ টি ক্ষতির প্রতিক্রিয়া।

হিসেবে কফি খুব জনপ্রিয়।
-কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান কফি পান স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করে না, বরং উপকারি। কিন্তু যখন কফিপান নেশায় পরিণত হয় এবং ওটা ছাড়া একটা দিন কাটানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তখন আপনার জানা উচিত অতিরিক্ত কফি পানের কিছু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাহলে জেনে নিন কফির কিছু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে:
১। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কফি পান করলে পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হতে পারে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্য পরিপাকে ব্যবহৃত হয়। পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হলে খাদ্যের আমিষ উপাদান ভাঙতে সমস্যা হয়। বদহজম সহ নানা ধরণের পেটের অসুখ হতে পারে।
২। কফির বীজে থাকে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় যৌগ যা পাকস্থলির গাত্রে ক্ষত সৃষ্টি করে ফলে আলসার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রকটভাবে দেখা দিতে পারে।
৩। প্রচুর কফিপানের ফলে আপনার কিডনিতে পড়তে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। ব্যহত হতে পারে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম।
৪। উচ্চ তাপমাত্রায় কফির বীজ থেকে কফি প্রক্রিয়াকরণের সময় ক্যান্সারে প্রভাব বিস্তারকারী উপকরণ তৈরি হতে পারে। তাই প্রচুর কফি পানে ক্যান্সারেরও সম্ভবনা আছে।
৫। প্রচুর কফি পানে শরীরে উদ্দীপনা আসে ঠিকই, কিন্তু এটা মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে স্নায়ুতন্ত্রের উপর। স্বাভাবিক উদ্দীপনাও হারিয়ে ফেলতে পারেন একসময় এতে করে।
খাবার ও পানীয় গ্রহণে সচেতন হোন। পরিমিত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করুন। সুস্থ থাকুন।- http://dgfpbd.blogspot.com

সুখবর-মোবাইল ফোন-এ- মানবদেহের ক্ষতি হয় না।

মোবাইল ফোন।
 ক্যান্সারের অন্যতম কারণ, এই ভয়াবহ অপবাদ  ছিল মোবাইলের ঘাড়ে। নতুন এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে শিশু অবস্থায় ক্যান্সার বা রক্তের ক্যান্সারের(লিউকোমিয়া) কারণ নয় এই দরকারি যন্ত্রটি।
বহুদিন ধরেই ভয় ছিল মোবাইল ফোনের অতি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে। মনে করা হত মোবাইল ফোন ও টাওয়ার থেকে যে রেডিওতরঙ্গ নির্গত হয় তা মস্তিষ্কে টিউমার, মাথা যন্ত্রণা ও ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। কিন্তু ব্রিটেনের নতুন গবেষণা অনুযায়ী মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
পৃথিবীজুড়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিটেনের মোবাইল টেলিকমুউনিকেশন অ্যান্ড হেলথ রিসার্চ প্রোগ্রামের তরফ থেকে ইলেক্ট্রোম্যগনেটিক তরঙ্গ বিশেষজ্ঞ মার্টিন গ্লেডহিল জানিয়েছেন মোবাইল থেকে নির্গত রেডিওতরঙ্গ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কি না সে বিশেষ কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি বিশেষজ্ঞ দলের গবেষণায়।
এক দশকের গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গর্ভবতী অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার গর্ভস্থ ভ্রূণের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করে না। লিউকোমিয়ার কারণ হিসাবেও সেল ফোনকে দায়ী করার বিরোধিতা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল ফোন ও wi-fi ডেটা থেকে যে রেডিও সিগন্যাল নির্গত হয় স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও প্রভাব পড়ে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।http://dgfpbd.blogspot.com

Hard Health tips

হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় অনেকেই অনেক কাজ করে থাকেন। নিয়মিত এবং পরিমিত খাওয়া দাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম, মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা সবই হৃৎপিণ্ডকে রাখে সুস্থ এবং সবল। বয়স হয়ে যাওয়ার পরও এই ধরনের অভ্যাস গুলো হৃৎপিণ্ডকে রাখবে কর্মক্ষম। এছাড়াও কিছু অদ্ভুত কাজ রয়েছে যা করার অভ্যাস করলে হৃৎপিণ্ড থাকবে সুস্থ। আসুন জেনে নেই সেই ৪টি “অদ্ভুত” কাজ যা হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য বেশ কার্যকরী।
প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খাওয়া
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা কার্ডিওভাসকুল্যার সমস্যা এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে নিরাপদে থাকেন। প্রতিদিন সামান্য ডার্ক চকলেট দেহের বাড়তি কোলেস্টরল শুষে নেয়ার কাজ করে এবং রক্তের প্রোটিনের মাত্রা পরিমিত রাখে। এতে হৃৎপিণ্ড থাকে সুস্থ।
ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে দূরে থাকা
কাজটি বেশ কঠিন হলেও এই কাজটি আপনার হৃৎপিণ্ডকে রাখবে সুস্থ ও সবল। ডাক্তাররা বলেন ট্র্যাফিক জ্যামে বসে অস্থির সময় পার করলে, জ্যামের অসহনীয় হর্ন এবং শব্দ সবই রক্ত চাপের মাত্রা বাড়ায়। এতে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের সমস্যা বাড়ে। তাই ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে দূরে থাকুন।
পরিমিত ঘুমান
গবেষকগন বলেন যারা প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার চাইতে কম ঘুমান তাদের অন্যান্যদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৪৮% বেশি। এছাড়াও যারা নিয়মিত কম ঘুমান তারা প্রায় ১৫% বেশি ডায়বেটিস রোগে আক্রান্ত হন। সুতরাং নিয়মিত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন হৃৎপিণ্ড ভালো থাকবে।
কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুন
যে কোন ধরনের কোমল পানীয় এমনকি ডায়েট ড্রিঙ্কস পান করলেও হৃদরোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রায় ৩৫% বেড়ে যায়। কোমল পানীয়, ডায়েট ড্রিঙ্কস, সোডা সবগুলোতেই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে বলে হৃদপিণ্ডের অনেক ক্ষতি হয়। সুতরাং এইধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকুন।http://dgfpbd.blogspot.com

Monday, March 21, 2016

অতি ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কাজের চাপ বেশি দিন স্থায়ী হলে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা নতুন গবেষণায় দেখেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ঘুম কম হলে তা একইভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আশঙ্কাজনক হারে কমাতে ভূমিকা রাখে। ‘স্লিপ’ জার্নালে এ গবেষণায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডের ইরাসমাস এমসি ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার রটারড্যাম ও যুক্তরাজ্যের সারে ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সের অনুষদের গবেষকেরা এক যৌথ গবেষণার পর এ তথ্য দিয়েছেন।
এ দিকে এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অপর্যাপ্ত ঘুমের সাথে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলরোগের সম্পর্ক রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, প্রতিদিন নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম মানুষকে কর্মক্ষম ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করে।http://dgfpbd.blogspot.com

লিপস্টিক হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কারণ?

কমবেশি সব নারীরাই প্রতিদিনই লিপস্টিক ব্যবহার করেন। আর তাই দোকান গুলোতে নানান রঙের ও নামীদামী ব্র্যান্ডের লিপস্টিক সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। কিন্তু আপনি কি জানেন লিপস্টিক হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কারণ? সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
লিপস্টিকে উপস্থিত কিছু ধাতব উপাদান মানবদেহের অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একজন গবেষক। গবেষণাটি Environmental Health Perspectives নামের একটি সরকারী ম্যাগাজিনে প্রকাশ পেয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা গবেষণার জন্য ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সী বার জন মেয়েকে নির্বাচন করেছেন। তাঁরা সবাই অকল্যান্ডের অধিবাসী। তাদের কাছ থেকে তাদের ব্যবহৃত লিপস্টিক ও লিপগ্লসের নাম ও ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানা হয়েছিলো এবং সেগুলোর নমুনা আনা হয়েছিলো। গবেষকদের জরিপে ৮টি লিপস্টিক ও ২৪ টি লিপগ্লসের নাম জানা গিয়েছিলো।
গবেষকরা গবেষণাগারে লিপস্টিক গুলোতে উপস্থিত উপাদান সম্পর্কে জানতে গিয়ে সেগুলোতে মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী শিশা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও অন্য আরো ৫টি ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পায়।
গবেষকরা জানান যে অধিকাংশ লিপস্টিকেই এসব উপাদানের কমবেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই উপাদান গুলো ঠোট থেকে পেটে চলে যায় এবং প্রাণঘাতী ক্যান্সার সহ আরো নানান সমস্যা সৃষ্টি করে।http://dgfpbd.blogspot.com

Sunday, March 20, 2016

ঊকূন হতে সাবধান


অনেকের চুলে খুশকী নেই, চুলও সুন্দর তবুও সারাক্ষণ মাথা চুলকায়। যারা উঁকুনের সমস্যায় ভূগছেন তারা এতক্ষণে নিশ্চই বুঝে গেছেন। আসলে যাদের প্রতিদিন অনেক মানুষের সাথে চলাফেরা করতে হয়, তারা উঁকুনের সমস্যাটা ভালভাবেই টের পান। আবার অনেকের মাথায় ছোটবেলা থেকেই উঁকুনের একটু বেশি বাড়াবাড়ি থাকে। এই নিয়ে যারা অতিষ্ট প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই উঁকুনের বংশ নির্বংশ করে দিতে পারেন। আসুন জেনে নিই কিভাবে।
উঁকুন থেকে মুক্তি পেতে হলে নিচের প্যাকটি ব্যবহার করুন।
যা লাগবে:
২ চামচ নারকেলের দুধ
২ চামচ পাতিলেবুর রস
২ চামচ নিমপাতা বাঁটা
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। প্রয়োজনে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারন। এই পেস্টটি ভালকরে চুলে মেখে প্রয় ৪০ মিনিটের মতো রাখুন।
এবার চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলে কন্ডিশনার লাগান। ব্যস পেয়ে যাবেন উঁকুন মুক্ত সুন্দর চুল।
যাদের চুলে উঁকুনের প্রাদুর্ভাব বেশি তারা ১০-১৫ দিন পরপর এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উঁকুন থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
http://dgfpbd.blogspot.com

শরীর ভাল রাখার কিছু টিপস

সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত।মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভাল।এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না।
২. পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাটা উচিত।সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
৩. খালি পেটে চা বা কফি খাওয়া ঠিক না ।খাবার আগে অবশ্যই কিছু খাওয়া প্রয়োজন।
৪. খাবার যতদূর সম্ভব নিয়মিত খাওয়া উচিত।খিদে না পেলে কখনই খাওয়া উচিত নয়,আবার খু্ব বেশী বা খুব কম খাওয়াও উচিত নয়।
৫. সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একদিন উপবাস করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে।আমাবশ্যা বা পূর্ণিমাতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৬. খাবার সময় বেশি পানি খাওয়া ঠিক না।খাবার শেষ করার অন্তত ১ ঘন্টা পরে পানি খাওয়া উচিত তবে দিনে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই ভাল।বেশি পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই।
৭. তাড়াতাড়ি বা অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া ঠিক না।খাবার সময় কথা বলা ঠিক না।
৮. খাবার ভালমত চিবিয়ে খাওয়া উচিত।খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৯. দুপুরে খাবার সময় ১২ টা এবং রাতে খাবার সময় ৯ টার আগে হওয়া উচিত।কেননা বেশি রাতে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না,তাই রাতে হালকা খাওয়া উচিত।অধিক রাতে দুধ ছাড়া কিছু খাওয়া ঠিক না।
১০. রাতে খাওয়ার অনন্ত আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ঘুমাতে যওয়া উচিত।
১১. অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর বিশ্রাম না নিয়ে খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি খাবার পর অবশ্যই কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
১২. রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না।http://dgfpbd.blogspot.com