২০ নভেম্বর ছিল World COPD Day
COPD মানে হল ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ- অর্থাৎ ফুসফুসের বিশেষ কিছু রোগকে একত্রে COPD বলা হয়ে থাকে। এই রোগগুলোর মধ্যে এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে পৃথিবীতে ২৩৫ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত রয়েছে হাঁপানিতে, এর মাঝে গত এক বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। তাই আপনি এ রোগের বাইরে আছেন এমনটা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকার কোন কারণই নেই। তাই আপনি আসলেই আক্রান্তদের মাঝে আছেন কি না তা যাচাই করে নিন।
এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছেঃ
নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ দেওয়ার অনুভূতি হওয়া বা ব্যথা হওয়া, ঠান্ডা লাগলে নিঃশ্বাস নেবার সময় বুকে শব্দ হওয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টের জন্য ঘুমাতে সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
অনেকেই ঠান্ডা লেগে বুকে শব্দ হওয়াকে কফ জনিত শব্দ বলে অবহেলা করেন কিন্তু হাঁপানির অন্যতম প্রধান লক্ষণই এটি।
আর কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যখন এসব লক্ষণ বা উপসর্গ খুব বেশি প্রতীয়মান হয়; এমনটা দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়। সেই ক্ষেত্রগুলো হচ্ছেঃ
খেলা-ধুলা বা ব্যায়াম করার সময় যদি শ্বাসকষ্ট হয়। বিশেষ করে শুকনো ও ঠান্ডা বাতাসে (যেমনঃ শীতের দিনে) ব্যায়াম করতে গেলে বেশি সমস্যা হলে।
বেশি ধুলোবালি বা রাসায়নিক দ্রব্য নিঃশ্বাসে প্রবেশ করার সময় শ্বাসকষ্ট হলে। বিশেষত ঘর-বাড়ি পরিস্কারের সময় বা বায়ু খুব দূষিত এমন এলাকায় ভ্রমনের সময় নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার কর্মস্থলে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার খুব বেশি হলেও আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এলার্জির উদ্রেক করে এমন জিনিসের সংস্পর্শে এলেও আপনার এ্যাজমার উপসর্গগুলো বেড়ে যেতে পারে।
হাঁপানির উপশম-
অনেকেরই ধারণা হাঁপানির সম্পূর্ণ উপশম সম্ভব, অন্তত রাস্তা-ঘাটে যারা ঔষধ বিক্রি করেন, তাদের তো এই নিয়ে বড়াইয়ের শেষ নেই। কিন্তু সত্যি কথা হল হাঁপানির কোন চিরস্থায়ী উপশম নেই। হয়ত ঔষধের ব্যবহার ও শুষ্ক আবহাওয়ায় টানা অনেকদিনের জন্য ভাল থাকতে পারেন একজন হাঁপানি রোগী, কিন্তু এলার্জেন বা ধুলোবালি ভরা বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে, আর্দ্র আবহাওয়ায় ফিরে এলে আবারও তাদের হাঁপানির উপসর্গগুলো ফিরে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
আপনার বাড়িতে রক্তের সম্পর্কীয় কারও হাঁপানি থাকলে, এলার্জির সমস্যা থাকলে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বা আশেপাশের কেউ চেইন স্মোকার হলে, ক্রমাগত বায়ু দূষনের শিকার হলে আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই সম্ভব হলে এই ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলুন। বিশেষত ধূমপায়ীদেরকে সিগারেট খেতে নিরুৎসাহিত করুন; কারণ শুধু হাঁপানিই নয় দেহের প্রায় বেশিরভাগ ক্যান্সারের সাথে ধূমপানের সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপায়ীদেরকে নিরুৎসাহিত করাই এবারের World COPD Day এর উদ্দেশ্য। এবারের প্রতিপাদ্য তাই “It’s not too late”। আসলেই, এখনও দেরি হয়ে যায়নি- আপনার, আপনার সন্তানদের বা প্রিয়জনকে হাঁপানি কিংবা ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে আজই পদক্ষেপ নিন।
more - http://dgfpbd.blogspot.com
COPD মানে হল ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ- অর্থাৎ ফুসফুসের বিশেষ কিছু রোগকে একত্রে COPD বলা হয়ে থাকে। এই রোগগুলোর মধ্যে এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে পৃথিবীতে ২৩৫ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত রয়েছে হাঁপানিতে, এর মাঝে গত এক বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। তাই আপনি এ রোগের বাইরে আছেন এমনটা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকার কোন কারণই নেই। তাই আপনি আসলেই আক্রান্তদের মাঝে আছেন কি না তা যাচাই করে নিন।
এ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছেঃ
নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ দেওয়ার অনুভূতি হওয়া বা ব্যথা হওয়া, ঠান্ডা লাগলে নিঃশ্বাস নেবার সময় বুকে শব্দ হওয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টের জন্য ঘুমাতে সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
অনেকেই ঠান্ডা লেগে বুকে শব্দ হওয়াকে কফ জনিত শব্দ বলে অবহেলা করেন কিন্তু হাঁপানির অন্যতম প্রধান লক্ষণই এটি।
আর কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যখন এসব লক্ষণ বা উপসর্গ খুব বেশি প্রতীয়মান হয়; এমনটা দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়। সেই ক্ষেত্রগুলো হচ্ছেঃ
খেলা-ধুলা বা ব্যায়াম করার সময় যদি শ্বাসকষ্ট হয়। বিশেষ করে শুকনো ও ঠান্ডা বাতাসে (যেমনঃ শীতের দিনে) ব্যায়াম করতে গেলে বেশি সমস্যা হলে।
বেশি ধুলোবালি বা রাসায়নিক দ্রব্য নিঃশ্বাসে প্রবেশ করার সময় শ্বাসকষ্ট হলে। বিশেষত ঘর-বাড়ি পরিস্কারের সময় বা বায়ু খুব দূষিত এমন এলাকায় ভ্রমনের সময় নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার কর্মস্থলে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার খুব বেশি হলেও আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এলার্জির উদ্রেক করে এমন জিনিসের সংস্পর্শে এলেও আপনার এ্যাজমার উপসর্গগুলো বেড়ে যেতে পারে।
হাঁপানির উপশম-
অনেকেরই ধারণা হাঁপানির সম্পূর্ণ উপশম সম্ভব, অন্তত রাস্তা-ঘাটে যারা ঔষধ বিক্রি করেন, তাদের তো এই নিয়ে বড়াইয়ের শেষ নেই। কিন্তু সত্যি কথা হল হাঁপানির কোন চিরস্থায়ী উপশম নেই। হয়ত ঔষধের ব্যবহার ও শুষ্ক আবহাওয়ায় টানা অনেকদিনের জন্য ভাল থাকতে পারেন একজন হাঁপানি রোগী, কিন্তু এলার্জেন বা ধুলোবালি ভরা বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে, আর্দ্র আবহাওয়ায় ফিরে এলে আবারও তাদের হাঁপানির উপসর্গগুলো ফিরে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
আপনার বাড়িতে রক্তের সম্পর্কীয় কারও হাঁপানি থাকলে, এলার্জির সমস্যা থাকলে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বা আশেপাশের কেউ চেইন স্মোকার হলে, ক্রমাগত বায়ু দূষনের শিকার হলে আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই সম্ভব হলে এই ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলুন। বিশেষত ধূমপায়ীদেরকে সিগারেট খেতে নিরুৎসাহিত করুন; কারণ শুধু হাঁপানিই নয় দেহের প্রায় বেশিরভাগ ক্যান্সারের সাথে ধূমপানের সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপায়ীদেরকে নিরুৎসাহিত করাই এবারের World COPD Day এর উদ্দেশ্য। এবারের প্রতিপাদ্য তাই “It’s not too late”। আসলেই, এখনও দেরি হয়ে যায়নি- আপনার, আপনার সন্তানদের বা প্রিয়জনকে হাঁপানি কিংবা ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে আজই পদক্ষেপ নিন।
more - http://dgfpbd.blogspot.com
No comments:
Post a Comment